একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু
অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক
- আপলোড সময় : ০৩-১০-২০২৪ ০৮:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-১০-২০২৪ ০৯:২৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: ধর্মপাশা উপজেলার দুর্গম হাওর এলাকার সিমের খাল গ্রামে অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। বুধবার দুপুরে তিনি ওই গ্রামে যান এবং নিহতদের স্বজনদের খোঁজ নেন। এ সময় নিহত এমারুলের শ্বশুর চেরাগ আলীকে নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেন। উল্লেখ্য, গত সোমবার মধ্যরাতে ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সিমের খাল গ্রামে অগ্নিকা-ের ঘটনায় একই পরিবারের ৬জনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- এমারুল মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী পলি আক্তার (৩৫), এই দ¤পতির ছেলে পলাশ মিয়া (১০), ফরহাদ মিয়া (৮), ওমর ফারুক (৩) ও মেয়ে ফাতেমা আক্তার (৫)। এমারুল হাওরে মাছ ধরে সংসার চালাতেন। কিভাবে ঘরে আগুন লাগল সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জেলা প্রশাসককে জানান, তারা খুবই দরিদ্র মানুষ। মাছ ধরে, শ্রমিকের কাজ করে দিনাতিপাত করেন। হাওরের ঢেউয়ে প্রতিবছর গ্রামটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গ্রামের পাশের একটি সরকারি পুকুর রয়েছে সেটিতে মাছ ধরতে বাধা দেয় হাওরের ইজারাদারের লোকজন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া তখন গ্রামের সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ এবং সরকারি পুকুরটি গ্রামবাসীকে সমিতির মাধ্যমে ইজারা দেওয়ার আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, গ্রামটি দুর্গম হাওর এলাকায় অবস্থিত। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হলো সেটি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষজন দরিদ্র। আমরা তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা করব। এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এস এম ইয়াসীর আরাফাত, উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পিন্টু চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন। এদিকে অগ্নিকান্ডে মরদেহগুলো নিহত এমারুলসহ ছয় জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় এমারুলের আত্মীয়স্বজনেরা সঙ্গে ছিলেন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বুধবার বেলা তিনটায় বলেন, লাশগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ময়নাতদন্তের কাজ শেষ করে দেব। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশের ময়নাতদন্ত, দাফনের সব ব্যয় বহন করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ